পাথর সেলার বিজ্ঞাপন
পাথরের নাম ব্যবহার ও প্রকারভেদ।
পাথর প্রকৃতির এক বিশেষ সৃষ্টি যা উঁচু উঁচু ভবন তৈরি বা সৌন্দর্য বর্ধক নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়। পাথরের দ্বারা সৃষ্ট ভবন প্রতিকুল পরিবেশেও দীর্ঘ দিন টিকে থাকতে পারে। ভাল পাথরের দ্বারা তৈরি কাঠামো অধিক শক্তিশালী হয়। নির্মাণ কাজে অবশ্যই তাজা বা ভাল মানের পাথর ব্যবহার করতে হবে। মৃত বা সিঙ্গেল পাথর ব্যবহার কাম্য নয়।
অর্থ উপার্জন শুরু করুন! পাথর এগ্রিগেট বিক্রি করুন। পাথর বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ফর্মটি পূরণ করে জমা দিন।
বিভিন্ন প্রকার পাথরের নাম ব্যবহার ও প্রকার ভেদ নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
পাথরকে নির্মান সামগ্রীর রাজা বলা হয় কেন?
পাথর খুবই মজবুত, শক্ত, দীর্ঘস্থায়ী, এবং আবহাওয়া ও পারিপর্শ্বিক প্রতিক্রিয়ায় পাথরের তেমন কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে না। তাছাড়া নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে পাথরের ন্যায় স্থায়ীত্বশীল সামগ্রী আর একটিও নেই, তাই পাথরকে নির্মাণ সামগ্রীর রাজা বলা হয়।পাথরের উৎস্য স্থান।
আমাদের দেশে ভোলাগঞ্জ ও পঞ্চগড়ে পাথর পাওয়া যায়। তাছাড়া ভারত থেকে পাথর আমদানী করা হয় যা এলসির পাথর নামে পরিচিত। এই দেশের নারায়নগঞ্জ, গাবতলী, খুলনার শহর রূপসা নদীর তীরে, কুষ্টিয়া শহর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে পরিবহন খরচ কম বিশেষ করে নদীর তীরবর্তী এলাকাতে পাথরের কারখানা গড়ে উঠেছে। এ সকল স্থানে বড় বড় পাথর সরবরাহ করা হয় এবং মেশিনে ভেঙ্গে কাজের উপযোগী করে বাজারে বিক্রি হয়।ভাল পাথর চিনিবার উপায়।
পাথরের প্রকার ভেদঃ প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রকারের পাথর থাকলেও নির্মাণ কাজে ব্যবহার উপযোগী কয়েকটি পাথর সম্পর্কে বর্ননা দেওয়া হল ।১। সিঙ্গেল পাথরঃ-
এই পাথর গোলাকার, গা তেলতেলে ও মসৃণ। কাজে ব্যবহারের উপযুক্ত সাইজের বা ৩/৪ অথবা ৩/৪ ডাউন গ্রেডের পাথরের টুকরা গুলোকে সিঙ্গেল পাথর বলে। এ ধরনের পাথরের বন্ডিং ক্ষমতা কম। সিদ্ধ ডিমে চাপ দিলে যেমন- ভেতরের কুসুমটুকু বের হয়ে আসে ঠিক তেমনি সিঙ্গেল পাথর ভারি কাঠামোতে ব্যবহার করলে কংক্রিটে অধিক লোড পরার ফলে কংক্রিট থেকে এই পাথর স্লিপ করার সম্ভাবনা থাকে। এ গুলো সাধারনত পাইলিং কাজে ব্যবহার করতে দেখা যায়।
২। ভুত ভাঙ্গা পাথরঃ-
সিঙ্গেল বা ৩/৪ ইঞ্চি থেকে বড় সাইজের পাথরের টুকরা গুলোকে মেশিনে ভাঙ্গা হয় । একটা পাথরকে ভাঙলে দুই বা তার অধিক পাথরের খন্ড পাওয়া যায় । এই পাথরের তিন/চার পাশের যে কোন ১-৩ পাশে তেলতেলে মসৃর্ণ ভাব থাকে। এ পাথর গুলোও ভারি কাঠামোতে ব্যবহারের অনুপোযুক্ত। এ গুলো সাধারনত পাইলিং কাজে ব্যবহার করতে দেখা যায় ।
৩। বোল্ডার ভাঙ্গা পাথরঃ-
এই পথরের টুকরা সবচেয়ে ভাল মানের। বড় বড় পাথর ভেঙ্গে ইঞ্চি আকারে পরিনত করা হয়। এ পাথরের টুকরা গুলোর গা খাজ কাটা কোনাকৃতির। এর বন্ড ক্ষমতা অনেক শক্তিশালী। বড় বড় ভবন নির্মানে এ পাথর ব্যবহার করা হয়। প্রকৃত প্রক্ষে এ পাথরের ব্যবহৃত কাঠামো অধিক শক্তিশালী হয় যা ভারি ভারি নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়।
৫ ইঞ্চি Thickness ঢালাইয়ের পাথর সাইজ হবে = ৩/৪ ইঞ্চি।
৪ ইঞ্চি Thickness ঢালাইয়ের পাথর সাইজ হবে = ৪/৪ = ১ ইঞ্চি এর কম হতে হবে। তবে ৫/৮ দিলে বেশী ভাল হয়। অথবা ৩/৪ এর সাথে ৫/৮, ১/২ সাইজের পাথর মিশিয়ে ঢালাই করলে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায়।
ডাম্প প্রুব কোর্স (DPC) ঢালাইয়ের পাথর সাইজ = ১/২ ইঞ্চি বা ১০ থেকে ১২ মিলি।
প্লেন সিমেন্ট কংক্রিট (PCC) ঢালাইয়ের পাথর সাইজ = ৩/২ ইঞ্চি বা ২৫ থেকে ৪০ মিলি।
সানসেড, লিন্টেল ঢালাইয়ের জন্য পাথর সাইজ হবে = ৫/৮ ইঞ্চি বা ১৫ থেকে ১৬ মিলি।
প্রতি সি,এফ,টি পাথরের ওজন মিনিমাম ৪৪.৫০ কেজি হতে হবে।
১। ইন্ডিয়ান মেঘালয় কালো এল,সি।
১। ইন্ডিয়ান মেঘালয় সাদা এল,সি।
২। পঞ্চগড়ের এমারগেট।
৩। মেঘালয় মিস্ক সিলেট।
৪। চুষা ভাঙ্গা পঞ্চগড়।
৫। ভুতু ভাঙ্গা পঞ্চগড়।
৬। ইন্ডিয়ান কালো পাকুড় (সোনা মসজিদ / Black Stone)
৭। ইন্ডিয়ান সাদা পাকুড় (সোনা মসজিদ / White Stone)
৮। রাইটার বোল্ডার ভাঙ্গা।
৯। এমারগেট ভুতু বোল্ডার ভাঙ্গা ইন্ডিয়ান।
১১। রাইটার পাথর।
পাথর বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা বাড়ান।
১। বাড়ি নির্মাণ কাজে কোথায় কোন সাইজের পাথর দিতে হয়?
সহজ করে বুঝার সুবিধার জন্য এক সাধারণ সূত্র ব্যবহার করতে পারি। পাথরের সাইজ হবে, ঢালাইয়ে নুন্যতম পুরুত্ব (Thickness) এর ৪ ভাগের ১ ভাগ এর চেয়ে কম হতে হবে।৫ ইঞ্চি Thickness ঢালাইয়ের পাথর সাইজ হবে = ৩/৪ ইঞ্চি।
৪ ইঞ্চি Thickness ঢালাইয়ের পাথর সাইজ হবে = ৪/৪ = ১ ইঞ্চি এর কম হতে হবে। তবে ৫/৮ দিলে বেশী ভাল হয়। অথবা ৩/৪ এর সাথে ৫/৮, ১/২ সাইজের পাথর মিশিয়ে ঢালাই করলে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায়।
ডাম্প প্রুব কোর্স (DPC) ঢালাইয়ের পাথর সাইজ = ১/২ ইঞ্চি বা ১০ থেকে ১২ মিলি।
প্লেন সিমেন্ট কংক্রিট (PCC) ঢালাইয়ের পাথর সাইজ = ৩/২ ইঞ্চি বা ২৫ থেকে ৪০ মিলি।
সানসেড, লিন্টেল ঢালাইয়ের জন্য পাথর সাইজ হবে = ৫/৮ ইঞ্চি বা ১৫ থেকে ১৬ মিলি।
প্রতি সি,এফ,টি পাথরের ওজন মিনিমাম ৪৪.৫০ কেজি হতে হবে।
২। পাথরে নাম ও দাম।
একই পাথরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম নামে পরিচিত থাকতে পারে। আমার চেনা পাথর গুলোর নাম ও সাইজ এখানে উল্লেখ করছি। তবে বাজার দর অনুসারে পাথরে দাম কম বা বেশী হতে পারে। আপনি পাথর কিনতে চাইলে। নিচের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের নাম ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে। আপনি সরাসরি ফোন করে। তাদের কাছ থেকে পাথরের সঠিক দাম জানতে পারবেন।১। ইন্ডিয়ান মেঘালয় কালো এল,সি।
১। ইন্ডিয়ান মেঘালয় সাদা এল,সি।
২। পঞ্চগড়ের এমারগেট।
৩। মেঘালয় মিস্ক সিলেট।
৪। চুষা ভাঙ্গা পঞ্চগড়।
৫। ভুতু ভাঙ্গা পঞ্চগড়।
৬। ইন্ডিয়ান কালো পাকুড় (সোনা মসজিদ / Black Stone)
৭। ইন্ডিয়ান সাদা পাকুড় (সোনা মসজিদ / White Stone)
৮। রাইটার বোল্ডার ভাঙ্গা।
৯। এমারগেট ভুতু বোল্ডার ভাঙ্গা ইন্ডিয়ান।
১০। সুতা কান্দির কালো পাথর। (ছাই কালার)
১১। রাইটার পাথর।
১২। রাঙ্গাইল সাদা পাথর এলসি ইন্ডিয়ান।
১৩। ভুরুংগামালি এলসি (চকলেট রঙ্গের পাথর মিশ্রণ থাকবে)।
১৪। সিংগেল লাল পাথর।
১৫। চুষা পাথর ভুটানী বোল্ডার ভাঙ্গা।
১৬। দুর্গাপুরের সিঙ্গেল পাথর।
১৭। ভিয়েতনাম পাথর।
পাথর বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা বাড়ান।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন